পূজার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন প্রভূ বিশ্বনাথ চৌধুরী ও স্বদেশ সরকার। আয়োজকরা জানান, স্নানযাত্রা শুধু ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা নয়—এটি একটি শুভ সূচনা, যার মধ্য দিয়ে দেব-দেবীর রথে আরোহনের আভাস পাওয়া যায়। এই স্নানকর্মের সময় গঙ্গাজল, চন্দন, ফুল, ধূপ-দীপ এবং বৈদিক মন্ত্রপাঠে মুখরিত ছিল পুরো পরিবেশ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সনাতন সংঘের নেতৃবৃন্দ, ভক্তগণ ও শহরের হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যরা। আয়োজকেরা বলেন, “রথযাত্রা আমাদের বিশ্বাস, সংস্কৃতি এবং সম্প্রীতির প্রতীক। আমরা চাই সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষ এই উৎসবে যোগ দিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তাকে আরও শক্তিশালী করুক।”

সনাতন সংঘের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামী ২৮ জুন শনিবার অনুষ্ঠিতব্য হ্যামট্রাম্যাক রথযাত্রায় থাকছে ঐতিহ্যবাহী রথ শোভাযাত্রা, কীর্তন, প্রসাদ বিতরণ এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শহরের প্রধান সড়কে বর্ণাঢ্য মিছিলের মাধ্যমে উদযাপিত হবে দিনব্যাপী এ ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব।
স্নানযাত্রা উপলক্ষ্যে শহরের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে আনন্দ-উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গেছে। এই আয়োজন ছিল আসন্ন রথযাত্রার প্রস্তুতির প্রথম পদক্ষেপ, যা ভক্তদের মনে উৎসবের উষ্ণতা ছড়িয়ে দিয়েছে আগেভাগেই।